অনলাইন ডেস্ক | ১৪:৪৭, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২ | 80
শেষ চারের টিকিট পেতে হলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে পাড়ি দিতে হবে ১৮৬ রানের বিশাল টার্গেট। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্লে অফে জায়গা করে নেয়ার জন্য আজ দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাজার্সের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ে নিয়েছিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তোলে সিলেট। দলের দুই ওপেনার কলিন ইনগ্রান আর এনামুল হক বিজয় শুরুটা বেশ ভালো করেছিলেন। প্রায় ১০ এর কাছাকাছি হারে রান তুলতে থাকা এই ওপেনিং জুটি ভাঙেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সিলেটের দলীয় ৪১ রানে কলিন ইনগ্রাম আউট হন ১৯ বলে ২৪ করে। ইনগ্রাম ক্রিজে থাকা অবস্থায় বিজয় দেখেশুনে খেললেও ইনগ্রামের বিদায়ের পর হাত খোলে এবার বিপিএলে ধারাবাহিক রান পাওয়া এই ব্যাটার।
তিন নাম্বারে ব্যাটিংয়ে এসে মিজানুর রহমান শূণ্য রানে আউট হলেও লেন্ডল সিমন্সকে সাথে নিয়ে দলের ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন বিজয়। ৫ চার ২ ছয়ে ২৭ বলেই ৪২ রান করেন সিমন্স। এরপরই দৃশ্যপটে আগমন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর। বিপদজনক হয়ে উঠতে থাকা এই জুটিকে থামান দুই দলের আগের ম্যাচের এই হ্যাট্ট্রিকম্যান। সিমন্স আর বিজয় দুজনকেই তুলে নেন ৪ বলের ভেতরে। সিলেটের রান তখন ১২.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১০২। আউট হওয়ার আগে বিজয় করেন ২৬ বলে ৩২ রান।
দুজনকে এক ওভারেই আউট করে সিলেটকে অল্প রানে বেঁধে রাখার যে স্বপ্ন দেখেছিলো চট্টগ্রাম সেইম স্বপ্নে পানি ঢেলে দেন রবি বোপারা আর মোসাদ্দেক হোসেন। দুজনের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৭.৫ বলেই ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান ১৮২ রানে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে বোপারা করেন ২১ বলে ৪৪ আর মোসাদ্দেক করেন ২২ বলে ৩৫ রান। শেষ পর্যন্ত নির্দারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে সিলেট।চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মৃত্যুঞ্জয়।চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ এই বিশাল রানের পাহাড় টপকে দলকে শেষ চারে নিয়ে যেতে পারে কিনা তারা।