শিরোনাম
শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়া কক্সবাজার জেলা: | ০৮:৫৬, মার্চ ১, ২০২২ | 244
শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়া কক্সবাজার জেলাঃ
কক্সবাজারের উখিয়া হরিণমারা চলছে নির্বিচারে ফের পাহাড় কাটা বেড়েছে চরম আকারে । চারদিকে শুধু পাহাড় কর্তন ও জায়গায় মাটি ভরাট। সরকারি আইনকে অমান্য করে সংঘবদ্ধ মাটি খেকো সিন্ডিকেট চক্র পাহাড়ের মাটি অবৈধ ভাবে কেটে ট্রাক ডাম্পার ও পিকআপ যোগে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে।
বন বিভাগের পাহাড় কর্তনের ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকহারে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। দালান, বাড়িঘর ও দোকান মার্কেট নির্মাণ করার জন্য জায়গা ভরাট করতে হাজার হাজার ফুট মাটি প্রয়োজন। কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি পাহাড় কেটে ভরাট কাজে মাটি যোগান দিচ্ছে।
তাঁর মধ্যে অন্যতম হরিণমারার বিশাল সিন্ডিকেট, রয়েছে নেতৃত্ব তথাকথিত গুটিকয়েক ডাম্পার মালিক। এদের কয়েকজন ১। করিব আহম্মদ ২। সৈয়দ করিম ৩। রেজা ৪। জহির ৫। মাহমুদুল হক ৬। গফুর ৭। আক্তার ৮। বদি আলম সহ আরও ৩৮ জন। এদিকে আরও রয়েছে অবৈধ বালু উত্তোলনের কয়েকডজন সিন্ডিকেট।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন দোছড়ি বন বিটের অধীনে হরিণমারায় সরকারি বনভূমি এবং পাহাড় কর্তন করে প্রতিদিন মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। অভিযোগে প্রকাশ স্থানীয় বন বিভাগকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে সংরক্ষিত এলাকা হতে অর্ধশতাধিক ট্রাক-পিকআপ ও ডাম্পার ভর্তি করে হাজার হাজার ঘনফুট মাটি পাচার করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান উপজেলা প্রশাসনের কড়াকড়ি আরোপ থাকায় মাটি খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা রাতের বেলায় মাটি পাচার শুরু করেছে। ট্রাক ডাম্পার ও পিকআপ যোগে মাটি ভর্তি করে হিজলিয়া দিয়ে রাজাপালং, উখিয়া, কুতুপালং, কোট বাজার, মরিচ্যা, রত্নাপালং, রুমমা বাজার সহ ইত্যাদি জায়গায় পাচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে সরকারি বনভূমি হতে পাহাড় কর্তন ও মাটি সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি একের পর এক পাহাড় কর্তন করেই যা। বর্তমানে এমন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বন বিভাগ নামের কোন ডিপার্টমেন্ট নেই।
বর্তমানে হরিণমারায় পাহাড় কাটার ধুম পড়েছে। প্রকাশ্যে অবৈধ পাহাড় কাটার দৃশ্য দেখলেও বন বিভাগ নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অনেকের অভিমত।
এ ব্যাপারে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন,ইতিমধ্যে পাহাড় কাটার অভিযোগে হরিণমারার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জড়িতদের গাড়ি আটক সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষায় উখিয়া রেঞ্জ’র আওতাধীন অবৈধভাবে মাটিকাটার ডাম্বারের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়মিত চলছে এবং অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সরকারি পাহাড় গুলো সুরক্ষা করতে অবিলম্বে পাহাড় কর্তন এবং মাটি পাচার বন্ধের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট দাবি জানিয়েছেন।
Developed By Muktodhara Technology Limited