শিরোনাম
সাতকানিয়া প্রতিনিধিঃ | ১১:৩২, জুলাই ৩, ২০২২ | 70
সাতকানিয়া প্রতিনিধিঃ
নাম তার ইয়াকুব,বাড়ি মধ্যম মোহরা,চাঁদগাঁও থানার অন্তরগত তার বাড়ি।চট্টগ্রাম সাতকানিয়া ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত ১নং ওয়ার্ডে আনছুমিয়াজির পাড়ায় শাশুড়ী ফাতেহা নাম করে গত ২৪ জুন জিবন্ত এক প্রসুতি গাভী জবাই করে লোকজনকে খাওয়ানো হল প্রসূতি গাভীর মাংসের বিরানি।এই নিয়ে যখন গ্রামের লোকের মধ্যে জানাজানি হয় তখন গোপন অনুসন্ধানে তা বেরিয়ে আসে ঘটনার আসল রহস্য।
গত ২৪ই জুন রাতে ইয়াকুবের ২য় বউয়ের ছোট ভাই সাইফুলের বিয়ে নিয়ে এই ঘটনার সুত্রপাত হয়।সাইফুল নামের ছেলেটি নিজ ঘরের তিন কন্যা সন্তান রেখে অপর এক বিধবা নারীর সাথে সম্পর্কের জেরে বিয়ে করতে সম্মতি নে,যা তার আগের স্ত্রীর অনুমতিবিহীন ছিল।তবে এই সম্মতি গ্রহণের প্রধান কারণ হল তার বোনের স্বামী ইয়াকুব।ইয়াকুব গ্রামে ঘরে থাকা তার ২য় বউয়ের ভাই সাইফুলের সংসার ভাঙ্গতে অনেক আগে হতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে,এবং সে নিজেও এরকম কয়েকটি বিয়ে করেছিল। অন্য দিকে সাইফুলের বিষয় নিয়ে যখন সামাজিক ভাবে বিচারধীন হয় তখন সাইফুলের জবানবন্দিতে বলে ছিলেন সে সংসার ভাঙ্গতে রাজি নয়,এবং স্থানীয় সরকার ইউপি সদস্যদের সামনে সে লিখিত উপস্থাপন লীপিতে স্বজ্ঞানে স্বাক্ষরের করে।
পরের দিন সাইফুলের বোনের জামাই ইয়াকুব বিচারে লজ্জিত হওয়ার কারণে,বিচার কর্তা ও সামাজের লোকের কাছে প্রতিশোধ নিতে সাইফুলে বাড়িতে থাকা প্রসূতি গাভী জবাই করে শাশুড়ীর বার্ষিক ফাতেহা নাম করে বিরানি খাওয়ায় সকলকে,যা সাতকানিয়া প্রাণী সম্পদ অধিকার অধিদপ্তরের দৃষ্টিবিহীন হয়। কিন্তুু সত্য গোপন থাকে নাই,প্রসূতি গাভীর পেটে থাকা বাচ্চা টি যখন বিকালে ঝোপঝাড়ে পড়ে থাকা দেখে মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনা জানাজানি যখন হয় তখন ইয়াকুব ও সাইফুল একসাথে পালিয়ে যাই।এই পুরো ঘটনাটি বর্তমানে প্রমাণস্বরূপ লোকজনের মুখে মুখে শুনা যাই।এলাবাসীরা এধরনের বাজে কাজের জন্য ইয়াকুব ও সাইফুল কে আইনের আওতায় আনতে দাবী জানায় সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের কাছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited