শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক: | ২২:৩২, আগস্ট ৫, ২০২২ | 217
জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার পরিবেশ আইনে জলাশয় ভরাট অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ ঘোষনা করারপরও সরকারের পরিবেশ রক্ষা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পূর্বান্চল রেলের জলাভূমি বালু ধারা ভরাট করছে একটি স্থানীয় ভূমিদস্যু মহল। সরেজমিন গিয়ে দেখা দেখা যায়, ৩১ জুলাই (শনিবার) রাত ১০ ঘটিকায় নগরীর ৫নং মোহরা ওয়ার্ডের জানআলী হাটস্থ কাজীরবাজারের রেলের সচল লাইনের পাশে জলাবদ্ধতা থেকে রেললাইন রক্ষার্থের জলাশয়ে ট্রাকে ট্রাকে অবৈধভাবে বালুভরাটের কর্মযোগ্য চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু ক্ষেত বোয়ালখালী নিবাসী আব্দুর রশিদ ও মোঃ শওকত ওরফে ভাঙ্গা শওকত। তথ্যমতে, প্রতিনিয়তই রাতের আধারে তারা ধীরে ধীরে বালু ফেলে ভরাট করে আসছে জলাধারটি। এতে বৃষ্টির মৌসুমে দোহাজারী গামী রেলপথটি সম্পূর্ণ পানির নিচে চলে যায় সৃষ্টি করে জলাবদ্ধতার। অন্যদিকে রেললাইনের উপর দেওয়া মূল্যবান পাথরও দিনের পর দিন রাতের আধারে ফেলা হচ্ছে জলাশয়টিতে। এতে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এই স্থানটিতে। প্বার্শবর্তী ব্যবসায়ীরা বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও কর্নপাত করেন না জান আলী হাট স্টেশন মাস্টার আবদুস সালাম ভূইয়া। তারা বলেন, তিনি স্টেশন থেকে চলে যাওয়ার পর শুরু হয় এই ভরাট কাজ। ভরাটের সময় তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন না, এতে বলাবাহুল্য তার যোগসাজশেই চলে এই ভূমি দখলের কাজ।তাদের মতে, এখানে বহুতল ভবন সহ মার্কেট নির্মানের পায়তারা করছেন সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে আব্দুর রশিদের মুঠো ফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অসাধ্য ভাষায় আচরণ করেন আমাদের সাথে। তিনি বলেন, আমি ৯৯ বছরের জন্য রেলওয়ে থেকে এই জায়গা লিজ নিছি। এটা এখন আমার জায়গা। আমার জায়গায় আমি কি করবো সেটা আমার বিষয়, রেলের সমস্যা হলে রেল দেখবে বিষয়টা। আপনাদের সমস্যা থাকলে রেলওয়েকে গিয়ে বিচার দেন। তিনি আরো বলেন, আমি এখানে আগেও দোকান বানাইছি ভাড়া ঘর বানাইছি রেলওয়ে তো কিছু বলে নাই। এসময় এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুন ও নজরুল এর সাথে এবিষয়ে কথা বলার জন্য, তার এই কাজে তাদের যোগসূত্র রয়েছে এমনটাই ইঙ্গিত দেন তিনি। অন্যদিকে মোঃ শওকত ওরফে ভাঙ্গা শওকতের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে ৫নং মোহরা ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মামুন এর মুঠোফোনের বিস্তারিত আলোচনা করলে তিনি বলেন, তার কাছে লিজ থাকলেও রেলওয়ের জলাশয় ভরাট তো একটি অপরাধ, আর তিনি কেন আমার নাম এর সাথে জরাচ্ছেন এটা চিন্তার বিষয়। আমি এমন কোন অপরাধের সাথে জড়িত নই। তিনি যেহেতু আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন প্রমানিত হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো তার বিরুদ্ধে। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর মুঠোফোনে ঘটনাস্থল হতে যোগাযোগ করা হলে তিনি আব্দুর রশিদ ও মোঃ শওকত ওরফে ভাঙ্গা শওকত নামের কারো সাথে তার পরিচয় নেই বলে জানান। তিনি বলেন, আমার নামে কেউ যদি অপরাধ করে থাকে তবে তার বিরুদ্বে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো। তারমতে, অপরাধ ধামাচাপা দিতে অথবা তার নামে অপপ্রচার চালাতেই এই অকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন অপরাধীরা। এবিষয়ে পূর্ব রেলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরীকে অভিহিত করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগটি খতিয়ে দেখবো। অভিযোগটি প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। এদিকে আব্দুর রশিদ কোন এক অদৃশ্য বলয়ের কারনে এখনো প্রতিদিন রাতে একটু একটু করে ভরাট করে চলেছে জলাশয়টি। যা দেখেও দেখছেন না জান আলী হাট রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার সহ দ্বায়িত্ববানরা।
Developed By Muktodhara Technology Limited