শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭:১৭, ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ | 151
শিশুদের খাবারের চাহিদা প্রতিদিন বদলায়। বিষয়টার সঙ্গে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন, এটাই দেখার বিষয়। এখানে সবচেয়ে বেশি দরকার ধৈর্য। শিশু খেতে চাচ্ছে না বলে আপনি আর চেষ্টা করবেন না—এমনটা হলে ফলমূল তো দূরের কথা, কোনো খাবারের প্রতিই শিশুর আগ্রহ তৈরি হবে না।বেশির ভাগ শিশুই ফল বা সবজি দেখলে দৌড়ে পালায়। অথচ নিয়মিত ফল বা সবজি না খেলে তাদের শরীরে থেকে যায় পুষ্টির ঘাটতি। তাই অনাগ্রহী হলেও শিশুকে ফলমূল খাওয়াতে হবে। কীভাবে খাওয়াবেন? এখানে রইল পাঁচটি টিপস—
বারবার চেষ্টা করুন
শিশুকে প্রতিদিন নতুন নতুন ফল বা সবজি খাওয়ার জন্য দিতে হবে। স্বভাবতই শুরুতে শিশু খেতে চাইবে না। এ ক্ষেত্রে আপনি তার সামনে খাবারের পাত্রটি রেখে আসতে পারেন। শিশু প্রথমে না খেলেও ১০ বা ১৫ মিনিট পর একাই তুলে নেবে খাবারটি। তাই বারবার চেষ্টা করা থামানো যাবে না। এটা জরুরি নয় যে শিশুকে পুরো খাবারটাই খেতে হবে। অল্প খাক, তবু যেন খাবার গ্রহণ থেকে দূরে না থাকে।
পরিবারের সবাই একসঙ্গে খেতে বসুন
একটা শিশুর জন্য মা–বাবাই প্রথম রোল মডেল। তাঁরা যা করে, শিশুরাও তেমন করতে চেষ্টা করে। তাই সবাই একসঙ্গে খেতে বসার চেষ্টা করুন। শিশু যখন দেখবে পরিবারের সবাই ফল আর সবজি খাচ্ছে, তখন সেও ফল খেতে আগ্রহী হবে। তবে খেতে না চাইলে জোর করবেন না। তাহলে খাবারের প্রতি তার আগ্রহ চলে যাবে। নিয়মিত একসঙ্গে খেতে বসুন। একসময় সে নিজেই প্লেট থেকে খাবার তুলে নেবে।
খাবারকে মজাদার করে পরিবেশন করুন
পরিবেশন সুন্দর হলে সে খাবারের প্রতি শিশুর আগ্রহ বাড়ে। সাধারণত রঙিন খাবারের প্রতি শিশুদের বেশি আকর্ষণ থাকে। ফল আর সবজির বেলায় বিভিন্ন রং বাছাই করতে পারেন। গাজর, আপেল, আঙুর, কমলা, মালটা, কলা—এগুলো অল্প পরিমাণে সাজিয়ে তার সামনে রাখুন। আপনি জানেন কোন খাবারের কেমন স্বাদ। তাই স্বাদ বুঝে ফলগুলোর সঙ্গে বিট লবণ, ক্রিম, মেল্টেড চিজ দিতে পারেন। একটা আস্ত আনার বা গোটা আপেল শিশু খেতে চাইবে না, সেটাই স্বাভাবিক। সেই চেষ্টা না করে আপনি বরং ওই ফল দিয়ে একটা খাবার বানিয়ে দিন। গোটা আপেল খেতে না চাইলেও আপেল পাই কিন্তু শিশুরা পছন্দ করবে। সেটাই বাসায় বানিয়ে খাওয়ান। এভাবে চেষ্টা করলে ফল বা সবজি যা–ই হোক না কেন, সবকিছুর প্রতি শিশুর খাওয়ার আগ্রহ বাড়বে।
অনুপ্রেরণা দিন
নিয়মিত খাবার খেতে উৎসাহিত করার জন্য শিশুকে ছোট ছোট পুরস্কার দিতে পারেন। যেমন রং পেনসিল, তার পছন্দের কোনো স্টিকার, খেলনা গাড়ি। নিয়মিত তার লম্বা হওয়ার বিবরণ লিখে রাখুন। শিশুকে দেখাতে পারেন, নিয়মিত খাওয়ার ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার শারীরিক গঠন কীভাবে বাড়ছে। এসব দেখে শিশুরা দ্রুত বড় হতে উৎসাহী হয়ে খাবার খাবে। তবে শিশুকে মিথ্যা বলা যাবে না। কোন খাবারে কতটা পুষ্টি, কী কী ভিটামিন আছে, আর সেসব ভিটামিনের কোনটা চুল, কোনটা ত্বক, কোনটা চোখ ভালো রাখে, সেগুলো শেখাতে পারেন। এতে শিশুরা খাবারে আগ্রহ পাবে।
ফল বা সবজি কেনার সময় শিশুকে সঙ্গে রাখুন
দোকান থেকে যখন ফল বা সবজি কিনবেন, সম্ভব হলে তখন শিশুকে সঙ্গে রাখুন। অনলাইন অর্ডার করলেও শিশুকে ফল বা সবজির ছবি দেখিয়ে তার পছন্দ জেনে নিন। শিশু আপনার সঙ্গে থাকলে তাকে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফল আর সবজি চেনাতেও পারবেন। কিনে নিয়ে বাসায় আসার পর সেগুলো পরিষ্কার করার সময়ও শিশুর সাহায্য নিন। খাবারগুলোর গুণাগুণ সম্পর্কে শিশুকে গল্পের ছলে বলুন। এ ছাড়া কোনো একটি ফল দেখে শিশু হয়তো বেশি আগ্রহী হবে। সেটা কিনে আনুন। এরপর সেই ফল তার সামনেই কেটে তাকে খেতে দিলে সে আগ্রহ পাবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited