image
image
image
image
image
image

আজ, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ ইং

বাংলা ভাষার উৎপত্তি | বাংলা ভাষার ইতিহাস | History Of Bengali Language

নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১৭:৫৩, ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২   |    213




বাংলা ভাষার উৎপত্তি | বাংলা ভাষার ইতিহাস | History Of Bengali Language

ভাষা কি?

ব্যাকরণ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, ধ্বনি যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনিসমষ্টিকে যা দিয়ে আমরা মনের ভাব প্রকাশ করা হয় তাকেই ভাষা বলে। কিন্তু এটুকু বললেই ভাষা কি সেটা বোঝানো যায় না। ভাষা হচ্ছে একটি সজীব সংগঠন। ভাষা সজীব, কারণ মানুষ যেমন একটু একটু করে প্রতিদিন বাড়ছে ভাষা ও ঠিক তেমনই প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে। মানুষ বর্তমানে এখন যে বাংলা ভাষায় কথা বলে, ৫০ বছর আগে এই রকম বাংলা ভাষায় কেউ কথা বলতো না। বর্তমান সময়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার সময় অনেক ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে প্রত্যেকে। পূর্ববর্তী প্রজন্মে এমন বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হতো যেটা এখনকার সময় বললে কেউ বুঝতেই পারবে না, যেমন "গবাক্ষ", গবাক্ষ শব্দটির অর্থ হল জানালা। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাঙালি এতটাই অলস হয়ে পড়েছে যে তারা জানালা শব্দটাকে জানালা না বলে জানলা বলে।

 

 

 

 

বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও তার ইতিহাস

বাংলা হ'ল বিশ্বের অন্যতম বহুল আলোচিত ভাষা। বাংলা হ'ল বাংলাদেশ এবং ভারতীয় রাজ্য ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহূত প্রধান ভাষা। বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে মিষ্টি ভাষা বলা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এখানে প্রায় ১৩ কোটি লোক এই ভাষা বলে।

 

 

 

 

বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাস:

আলাদা আলদা দুটি ভূখণ্ডের ভাষা যখন একরকম হয়ে যায় তখন, সেটাকে ভাষা বলা হয়না, তাকে বলা হয় ভাসাবংশ। আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আছে যে ভাষা বংশের ব্যাপারে আমরা জানতাম তার নাম ছিল "ইন্দো-ইউরোপীয়"। এই "ইন্দো-ইউরোপীয়" ভাষা বংশের পরিধি ছিল ভারত ও ইউরোপ পর্যন্ত। এখানে "ইন্দো" বলতে ভারত কে বোঝানো হয়েছে এবং "ইউরোপীয়" বলতে ইউরোপ দেশ কে বোঝানো হয়েছে। আজ থেকে পাঁচ লাখ বছর আগে ভারত, বাংলাদেশ ও তার সীমান্তবর্তী কিছু এলাকার ভাষার মিল ছিল এই জন্য এটাকে বলা হয় "ভাষাবংশ"। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশে ইন্দো একটি ভূখণ্ড ও ইউরোপীয় একটি ভূখণ্ড বিভক্ত হওয়াই এই ভাষাবংশ টিকে দুটি শাখাতে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে "শতম" ও আরেকটি "কেন্তুম" ।

 

 


ভারতের মধ্যে "শতম" শাখায় কথা বলা হতো এবং ইউরোপের মানুষেরা "কেন্তুম" শাখায় কথা বলতো। যখন ভারতবর্ষে "শতম" শাখায় কথা বলা হতো, তখন ভারত বর্ষ একটি দেশ ছিল না, ভারতবর্ষ তখন একটি উপমহাদেশ ছিল। ভারতে অনেকগুলি জাতি থাকায় তারা আলাদা আলাদা ভাষায় কথা বলতো। যেমন আরবের জাতিরা "আরবীয়" ভাষায়, মিশরীরা "মিশরীয়" ভাষায় কথা বলতো, যারা ইরানের ছিল তারা "ইরানীয় ভাষায় কথা বলতো, ভারতীয়রা কথা বলতো "ভারতীয়" ভাষায়। ভারত অনেকটা বড় ছিল। তখন অন্য একটা দিক থেকে, একটি জাতি আসলো যা ভারত কে শাসন করতে লাগলো । সে জাতির নাম "আর্য"। আর্যদের শাসন করা কালীন, ভারতীয় আর্য ভাষা শিখে নিল। তখন ভাষাটি হয়ে গেল "ভারতীয়আর্য" ভাষা। ভারতীয় আর্যভাষা টি ভারতে ভাষার একটি রূপ। তখন সবাই "ভারতীয়আর্য" ভাষার কথা বলতে শুরু করে দিল।

 

 


পরবর্তীতে কথা বলা এবং লেখা দুটো আলাদা হয়ে গেল। অঞ্চল ভিত্তিতে যে ভাষায় কথা বলা হত তাকে তাকে মুখের ভাষা বলা হয়, বইয়ের ভাষায় যাকে বলে "প্রাকৃত" ভাষা। মানুষ যে ভাষায় লিখিত অর্থাৎ লিখিত ভাষার নাম ছিল "সংস্কৃত"। মুখের ভাষা অর্থ প্রাকৃত ভাষা কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হলো গৌড় অঞ্চলের যে ভাষায় কথা বলা হত তাকে বলা হল "গৌড়ীয় প্রাকৃত" এবং মগধ নামে যে এলাকা ছিল তারা যে ভাষায় কথা বলতো সেটির নাম ছিল "মাগধী প্রাকৃত"। সুনীতিকুমারের মতে বাংলা ভাষা এসেছে "মাগধী প্রাকৃত" থেকে দশম শতাব্দীতে। "গৌড়ীয় প্রাকৃত" থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে সপ্তম শতাব্দীতে, এটি বলেছেন ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ । বাংলা ব্যাকরণে সুনীতিকুমারের কথাকে কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।

 

 


সুনীতিকুমারের মতে "মাগধী প্রাকৃত" হোক বা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে "গৌড়ীয় প্রাকৃত" একসময় এই ভাষাটি বিকৃতি হয়ে যায়। ভাষা যখন ব্যর্থ হয় তখন সেটাকে বলা হয় "অপভ্রংশ"। এই বিকৃতি ভাষা থেকে সরাসরি একটি ভাষার উৎপন্ন হয় "বঙ্গকামরূপী"। "বঙ্গকামরূপী" যেটি "অপভ্রংশের" একটি রূপ। এখান থেকে সরাসরি কিছু ভাষা তৈরি হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলা, এরমধ্যে আবার আছে অসমীয়া যেটা বর্তমানে আসামের ভাষা, আরো আছে উড়িয়া ভাষা যেটা উড়িষ্যাতে কথা বলা হয়।



রিলেটেড নিউজ

গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ‍্যালয়গুলোতে  তিন বছরেও  ব‍্যবহার হচ্ছে না ডিজিটাল হাজিরা মেশিন 

১১:২৫, মার্চ ৫, ২০২৩

গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ‍্যালয়গুলোতে  তিন বছরেও  ব‍্যবহার হচ্ছে না ডিজিটাল হাজিরা মেশিন 


রকেট ও ট্যাপে টিউশন ফি দেবে জবি শিক্ষার্থীরা   

১৮:১৮, নভেম্বর ৭, ২০২২

রকেট ও ট্যাপে টিউশন ফি দেবে জবি শিক্ষার্থীরা   


পরীক্ষা শুরু এইচএসসি ও সমমানের

১২:২৪, নভেম্বর ৬, ২০২২

পরীক্ষা শুরু এইচএসসি ও সমমানের


বইমেলার সময় বাড়লো, চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত

১৫:১৩, ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২২

বইমেলার সময় বাড়লো, চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলল এক মাস পর

১২:২৪, ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২২

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলল এক মাস পর


২ মার্চে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলতে প্রজ্ঞাপন

১৭:২৩, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২২

২ মার্চে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলতে প্রজ্ঞাপন