শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯:০৮, আগস্ট ২৮, ২০২২ | 222
বন্দর ব্যবহারকারী পরিবহণ ও কাস্টমের বিল অব এন্ট্রি থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে মন্ত্রণালয়সহ যথাযথ কর্তৃপক্সের সাথে আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে |
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে সারাদেশের উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন বলে চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন।
এ প্রকল্পগুলোর কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। প্রকল্পের মধ্যে কর্ণফুলী টানেল, মীরসরাই বিশেষ শিল্পাঞ্চল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল হলে চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্ব যেমন বেড়ে যাবে, তেমনি ব্যবাসা বাণিজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার হাব। এ কারণে চট্টগ্রাম নগরীকে
যুগের সাথে তালমিলিয়ে সাজাতে হবে।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে হবে। নগরীকে সাজাতে চসিকের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। গৃহকরের উপর নির্ভর করে বিশাল অংকের আর্থিক ব্যয় নির্বাহ করতে হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে হবে। চসিক নগরীতে যে সড়কগুলো নির্মাণ করছে সেগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অনেক কম।
চট্টগ্রাম বন্দরের ২০ হতে ৩০ টন বোঝাই মালামাল ট্রাক ও লরি চলাচলের কারণে সড়কগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বন্দর ব্যবহারকারী পরিবহণগুলো থেকে নিদিষ্ট হারে ট্যাক্স আদায় এবং কাস্টমের বিল অব এন্ট্রি থেকে একটি
নির্দিষ্ট হারে চার্জ আদায়ে মন্ত্রণালয়সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ১৯তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্য রখতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত
কাউন্সিলরগণ সহ চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন করার ক্ষেত্রে চউকের উপর একক দায়িত্ব না রেখে চসিককেও দায়িত্ব দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, পরিচ্ছন্ন বিভাগকে ৬টি জোনে ভাগ করা হলেও কিছু-কিছু ক্ষেত্রে কাজের সমন্বয়ের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধনসহ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদকৃত অবৈধ দখলদারগণ যাতে পুনরায় উচ্ছেদতৃক জায়গা
দখল করতে না পারে সেখানে ফেন্সিং এবং বাগান করার নির্দেশনা দেন।
মেয়র ২ হাজার ৫শত কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করে শুকনো মৌসুমে নির্ধারিত সময়ে সড়ক উন্নয়ন কাজ করাসহ বরাইপাড়া খালের অগ্রগতি মাসিক প্রতিবেদন আকারে পেশ করার জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া যান্ত্রিক শাখার গাড়িগুলো মাদারবাড়ি চসিকের গ্যারেজে রেখে রক্ষণা বেক্ষণ ও মেরামত নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি নগরবাসীকে গৃহকরের উপর মহল বিশেষের বিভ্রান্তিতে কর্ণপাত না করে নতুন ধার্যকৃত করের অসংগতিগুলো দুর করার জন্য অভিযোগের ক্ষেত্রে স্ব-স্ব কাউন্সিলরকে করদাতাদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোন অভিযোগ আসলে সংশ্লিষ্ট কর আদায়কারীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুনরায় উল্লেখ করেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ মোহরা সিএন্ডবি এলাকায় ফুটপাতের উপর সীমনা দেয়াল নির্মাণ করায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে তা সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জাননো হয়। এছাড়াও বিনা অনুমতি বা মেয়াদোত্তীর্ণ অনুমতি পত্র দ্বারা রাস্তা কর্তন করা হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ও ওয়াসার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে রাস্তা সম্প্রসারণের ফলে বিদ্যুৎতের পোল রাস্তার মাঝখানে থাকায় দূর্ঘটনাসহ জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি নিরসনে পরিদর্শনপূর্বক দ্রুত তা অপসারণের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
মেয়র অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ, র্যাব ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বিগত সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সভায় চসিক মেয়রকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা প্রদান করায় নগরবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জনানো হয়।
Developed By Muktodhara Technology Limited