শিরোনাম
যশোর প্রতিনিধি: | ১৭:২২, নভেম্বর ৫, ২০২২ | 36
যশোরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম শীতকালীন সবজি। গত বছরের তুলনায় এবার পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি। কিন্তু সেই দামেও উৎপাদন খরচ পোষাচ্ছে না। এতে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখতে পারবেন কিনা, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। চাষি থেকে ভোক্তার খাবার টেবিল পর্যন্ত সবজি পৌঁছাতে কয়েক দফায় হাত বদল হচ্ছে। এতেই দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও ঠকছেন চাষি ও ভোক্তা।
দেশের বৃহত্তম সবজির মোকাম যশোরের বারীনগর সাধারণ কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরপুর বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে। ভোর থেকে কৃষকরা তাদের সবজি নিয়ে হাজির হয়েছেন মোকামে। চলছে বেচাকেনা। এদিন বেগুন ৪৫-৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৫৫-৬০ টাকা, শিম ৬০-৬৫ টাকা কেজি, পাতা কপি ২০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা কেজি, মরিচ ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সবজি কয়েক হাত ঘুরে যশোর শহরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রাজধানী ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভোক্তা চড়া দামে কিনছেন এসব সবজি। মোকামে সবজি বিক্রি করতে আসা চাষি রজব আলী বলেন, কৃষকের বাঁচার উপায় নেই। আবাদের খরচ বেড়েই চলেছে। তেল, সার, কীটনাশক কেনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। অনেক কষ্টে আবাদ করেছি। বাজারে এসে যে দাম পাচ্ছি, তাতে কোনোরকমে খরচ উঠবে। লাভের মুখ দেখতে পারব না।সদর উপজেলার বালিয়াঘাট এলাকার চাষি হরেন ঘোষ বলেন, সবাই চাষি মারার কল পেতে রেখেছে। যত লোকসান সব চাষির ঘাড়ে। তেল, সার, কীটনাশকের দাম লাগাম ছাড়া। এভাবে কতদিন টিকব আমরা জানি না।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজি সরবরাহকারী তৌহিদ বলেন, চাষির সবজি উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এজন্য গত বছরের তুলনায় এবার পাইকারি বাজারে সবজির দাম একটু বেশি।
Developed By Muktodhara Technology Limited