শিরোনাম
মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিনিধি | ১৯:৪৪, নভেম্বর ২৯, ২০২২ | 60
পটিয়া হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী (এমপি)বলেছেন, ‘আমি প্রতিটি রাত জেগে স্বপ্ন দেখি পটিয়াকে কিভাবে সাজানো যায়। আর সেজন্য কাল আমাকে কি কি করতে হবে এবং কোথায় কোথায় যেতে হবে। রাতে দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়নে পরদিন সে মোতাবেক ছুটে চলি আর ঘুরে বেড়াই সরকারের এই দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রতিটি মানুষের পাশপাশি পটিয়ার মাটির সাথেও কথা বলি। তাই কোথায় কি সমস্যা, কি প্রয়োজন আমি জানতে পারি। আর প্রয়োজন মোতাবেক কাজ করতে পারি।
পটিয়া হাসপাতালে কোন অনিয়ম হলেও সাধারণ লোকজন আমাকে ফোনে অবগত করেন। আমার ফোন কখনো বন্ধ থাকে না এবং যেকোন ফোন আমি নিজেই ফোন রিসিভ করে কথা বলি। এরপর সমস্যার সমাধানে কাজ করি। সুতরাং পটিয়া হাসপাতালে চাকরি করতে হলে রোগীদের সেবা দিতেই হবে। যারা সেবা দিতে ব্যর্থ তাদের এ হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই।’
গতকাল(২৮ নভেম্বর) সোমবার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পটিয়া আসনের এমপি সামশুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সব্যসাচী নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জমান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ নবী, পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরহানা জেরিন, উপজেলা আ:লীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপর্না দে, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেক, আবছার উদ্দিন, কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী অকেজো একটি এম্বুলেন্স পটিয়া ফাউন্ডেশেনের পক্ষ থেকে মেরামত ও গরীব রোগীদের বিনামূল্যে সেবা দেয়া দেয়ার জন্য দুই লাখ টাকার একটি ফান্ড প্রদানের ঘোষণা দেন। সে সাথে অপারেশন থিয়েটারের জন্য একটি জেনেরেটর প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি হাসপাতাল থেকে রোগীদের বিভ্রান্ত করে বেসরকারি হাসপাতালের নেয়ার জন্য দালালদের প্রতিরোধ করার নির্দেশ দেন। তিনি পটিয়া ফাউন্ডেশনের বেতনে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন।
Developed By Muktodhara Technology Limited