শিরোনাম
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ | ২১:৩২, জানুয়ারী ৪, ২০২৩ | 55
মধুপুরে সরিষার হলুদ ফুলে কৃষকের মুখে হাসি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে মাঠে সবুজের মাঝে ফুটে আছে হলুদ সরিষা ফুল। শীতের হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে সুবাস। মধু আহরণে ফুলে ফুলে বসছে মৌমাছি। সেই সাথে সরিষার হলুদ ফুলে মনোমুগ্ধকর হয়ে ছবি তুলছেন কোমলমতি শিশু সহ সকল বয়সী নারী পুরুষ। যত দূর চোখ যায় হলুদের সমারোহ। এই মৌসুমে মধুপুর উপজেলায় রেকর্ড পরিমান জমিতে সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ শত হেক্টর জমিতে তা অর্জিত হয়ে অতিরিক্ত ১ শত হেক্টর পেরিয়ে৭২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। শুরুর দিকে সরিষা খেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু কৃষকদের নিবিড় পরিচর্যা এবং মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরি সহযোগিতার কারণে তা প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে। এখন কৃষকেরা সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ,সহ পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মাঠগুলোতে চোখে পড়ার মত সরিষার ক্ষেত। পৌর এলাকার আকাশী গ্রামের লিটন মিয়া বলেন ‘আমি এ বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। প্রতিটি সরিষাগাছে প্রচুর পরিমাণ ফুল ধরেছে। ফুলগুলো আকারেও বড় হয়েছে।
মনে হচ্ছে, এবার সরিষার ফলন ভালো পাব। সময়মতো সরিষা তুলে বিক্রি করতে পারলে বাড়তি কিছু টাকা আসবে। এতে পুরোদমে ইরি-বোরো চাষ করতে পারব। ’শফিক মিয়া জানান, গত বছর আমার জমি পতিত ছিল সরিষার দাম ভাল থাকায় এবছর আমি প্রায় তিন বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি ফলন ভাল হয়েছে আশা করছি ভাল দাম নিয়ে বিক্রি করতে পারব। ওই টাকা দিয়েই আমি বোরো চাষ করতে পারব।
উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কামারচালা গ্রামের অলি উল্লাহ বলেন, ‘চলতি মৌসমে আমি ১০ বিঘা জমিতে সরিষা লাগিয়েছি। এই বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ভালো ফলনের আশা করছি। বাজারেও সরিষার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিজ পরিবারের তেলের যোগান ও বাড়তি আয়ের জন্য আমি সরিষার চাষ করেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আল মামুন রাসেল বলেন, ‘চলতি মৌসুমে মধুপুর উপজেলার ব্যাপক সরিষার আবাদ হয়েছে। লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে এবছর ৭২০হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ মন সরিষা ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যথাসময়ে জমি চাষযোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকেরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছেন।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো ধরনের ক্ষতি না হলে এ উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited