শিরোনাম
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ | ১৭:১৭, মার্চ ১২, ২০২৩ | 21
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন উপজেলা,ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উন্নয়নমূলক কাজের বিপরীতে নির্ধারিত হারে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে খোদ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় লোকজন উন্নয়নমূলক কাজের নিম্নমান সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করলেও তিনি তাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে উল্টো ঠিকাদারদের পক্ষেই সাফাই গেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
সড়ক নির্মাণ ও মেরামতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বিটুমিনসহ নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, মূল ঠিকাদারের পরিবর্তে অদক্ষ ঠিকাদার দিয়ে কাজ করানো, রাস্তা তৈরির সময় ঠিকাদারের কাজের যথাযথভাবে তদারকি না করা আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সড়ক নির্মাণ বা মেরামতের ২/৩ মাস যেতে না যেতেই তা নষ্ট বা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সরকারি বরাদ্দের এমন অপব্যয়ের কারণে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের হাসবাড়ী বাজার থেকে দৌলতপুর মুখি রাস্তাটি গত দু'দিন আগে কাপেটিং করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তাটিতে গিয়ে দেখা যায় বিটুমিনের পরিমাণ কম দেওয়ায় এবং ভালো করে সাইড কুপিয়ে না দেওয়ার কারণে সাইড ভেঙে পাথর উঠে যাচ্ছে। ঠিকমতো রোলার না করার কারণে ফিনিশিং হয়নি। গোটা রাস্তা খাঁজ খাঁজ হয়েছে। স্থানীয়রা জানান,আমাদের বাপের জম্মেও এ রকম রাস্তা দেখিনি। পা দিয়ে ঘষাঁ দিতেই পাথর উঠে উঠে যাচ্ছে। সাইডের বাঁধনে কোন ফিনিশিং নেই,যেন বির্বণ কাপেটিং।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারকে টেন্ডারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার কথা বললেও কোনো তোয়াক্কা না করে অনুমোদনবিহীন নিম্নমানের বালি, ইট-সুরকি ও পাথর দিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করেছেন । রাস্তার দু'পাশ বাড়ানোর কথা থাকলেও তা যথাযথ বাড়ানো হয়নি। রাস্তা টিকে থাকার জন্য দুপাশে যে ইটের এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিম্নমানের। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, রাস্তার কাজে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাউকে এসে তদারকি করতে দেখা যায়নি।
এব্যাপারে জেলা এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না,জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Developed By Muktodhara Technology Limited