শিরোনাম
নান্দাইল সংবাদদাতা ঃ | ১৭:৫৩, মার্চ ১৪, ২০২৩ | 24
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সীমান্তবর্তী ত্রিশাল উপজেলা লাগুয়া ১৩ নং চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চর ভেলামারী বালুর চরে স্থানীয় একটি শক্তিশলী বালু সিন্ডিকেট মাসের পর মাস সম্পূর্ন অবৈধ উপায়ে বম্রপুত্র নদ ও চর থেকে শত শত ট্রাক বালু বিক্রি করে যাচ্ছে । প্রতিদিন ১শ থেকে দেড়শত ট্রাকে বালু পাচার করা হয় । স্থানীয় হিসাবে প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ টাকা লেনদেন হয়ে থাকে এতে করে মাসে অর্ধকোটি এবং বছরে ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বালু সিন্ডিকেট । নান্দাইল উপজেলা আইন শৃস্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার সিদ্ধান্ত গ্রহন করার পর উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ বালু ট্রাক ভেকু আটক করে। কিন্তু নিয়মিত কোন মামলা হয়নি। গত ২৯ জুলাই শুক্রবার বিকালে সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট এটিএম আরিফ সরজমিনে অভিযান চালিয়ে অবৈধ উপায়ে বালু উওোলন সময় দুইটি ভেকু আটক করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফরিদ উদ্দিন এর জিম্মায় দিয়ে আসে। কারা বালু সিন্ডিকেট করে সরকারী নদী ও বিল থেকে বালু বিক্রি করছেন তা সবাই জানে। কিন্তু এরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রকশ্যে কেউ কারও নাম বলতে রাজি হয়নি। বালু উওোলনের সাথে জড়িত শ্রমিকরা বলেন, আমরা রোজ শ্রমিক হিসাবে শ্রম বিক্রি করে বালু ট্রাকে তুলে দেই। বালুর টাকা কারা নেয় এই প্রশ্নের জবাবে বলেন এলাকার সবাই জানে এই টাকা কারা পায়। ১৩ নং চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চেয়াম্যান মো:ফরিদ উদ্দিন বলেন আমি বি এন পি থেকে নির্বাচিত। আমার কথায় এখানে কোন কাজ হবে না। কারন কারা জড়িত আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন। তাদের নাম আমি বলতে চাইনা। আপনার একটু তদন্ত করলেই সব পেয়ে যাবেন। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন প্রকাশ্যে মাসের পর মাস অবৈধ উপায়ে বালু উত্তোলন করে সরকারী রাজস্ব ফাকি দিয়ে লাখ লাখ টাকার ব্যবসা সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন মামলা না হওয়ায় এলাকাবাসী হতাশ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, শুক্রবার অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের সময় দুইটি ভেকু আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited