শিরোনাম
mbnb | ১৮:০২, মে ৬, ২০২৩ | 10
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেছেন, রাজধানী উত্তরার একটি চক্র দীর্ঘ ৬ বছরে ৩০০ শিশুকে অপহরণ করেছে। এতদিন তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
শনিবার (৬ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, এই চক্রের মূল হোতা এবং সহযোগীদেরকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মিল্টন মাসুদ (৪৫), শাহীনুর রহমান (৩৮) ও সুফিয়া বেগম (৪৮)। তারা ছয় বছর ধরে শিশু অপহরণের এ কাজটি করে আসছিলেন। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শিশুকে অপহরণ করে আসছিল। যাদের বয়স ৮ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে তাদেরকে টার্গেট করত তারা। এ ছাড়া যাদের কাছে মোবাইল থাকত না কিন্তু বাবা-মায়ের ফোন নাম্বার মুখস্থ থাকত তাদেরকেও টার্গেট করা হতো।
তিনি বলেন, পুলিশের কাছে উত্তরা পূর্ব থানায় শিশুদের অপহরণ করে চাঁদা দাবির একটি অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। আমরা তাদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য তথ্য পেয়েছি। চক্রটিকে সহযোগিতা করতেন শাহীন ও সুফিয়া। চক্রটি এ পর্যন্ত ৫০০ থেকে ৬০০ শিশুকে টার্গেট করেছিলেন। সেই টার্গেট থেকে ৩০-এর অধিক শিশুকে অপহরণ করে অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন। এই চাঁদার পরিমাণ ক্ষেত্র বিশেষে ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকাও হয়েছে।
মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম আরও বলেন, তাদের অপহরণের ধরণটা ভিন্ন। তারা শিশুদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করত। এটা ছিল কৌশল। চক্রটি প্রথমে শিশুদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলত। অপহরণকারী তাদের বাবা-মায়ের পরিচিত বলে ভাব জমাতেন। এরপর সেই শিশুকে লোভ দেখিয়ে তাদের পছন্দ মতো জায়গায় আসতে বলতেন। শিশুটি সেখানে গেলে তারা তাকে আটকে রেখে অভিভাবকদের ফোন করে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করতেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা দুই আসামির তথ্য অনুযায়ী একটি দু’নলা ও একটি এক নলা বন্দুকসহ পাঁচটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৬ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস ব্রিফিয়ের মাধ্যমে পুলিশ জানান, মামলার পাঁচ আসামি বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছে। এরমধ্যে মামলার দুই নম্বর আসামি মশিউর রহমান নিশান পাঁচ দিনের ও ১৪ নম্বর আসামি আজিজুল ইসলাম বাবলু তিন দিন রিমান্ডে রয়েছে। বাবলুকে নিয়ে গত ৪ মে রাতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয় পুলিশ। তার তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের অদূরে মাঠের পাশে কলাবাগান থেকে কলাপাতা মোড়ানো একটি দুনলা দেশিয় বন্দুক ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে রিমান্ড চলাকালীন নানান কৌশলে নিশানের কাছ থেকে অস্ত্রের সন্ধান নেওয়া হয়। শুক্রবার (৫ মে) রাতে আসামি নিশান ও রুবেল দেওয়ানকে নিয়ে অভিযানে বের হয় পুলিশ। নিশানের বাড়ির ঘরের পাশে একটি লাকড়ি ঘর থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
আদালতে জবানবন্দিতে মামলার তিন নম্বর আসামি দেওয়ান ফয়সাল ও ১৮ নাম্বার আসামি আলমগীর ওরফে কদু আলমগীর তথ্য দিয়েছিল হত্যাকাণ্ডে অন্যান্য অস্ত্রের সঙ্গে দেশিয় কিছু বন্দুক ব্যবহার হয়েছে। অস্ত্রগুলো যিনি সবাইকে দিয়েছেন তাকে গ্রেপ্তারে আমরা চেষ্টা করছি। আটটি টিমে ৩৫ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী এ হত্যাকাণ্ডে কাজ করেছে। যিনি তাদের অস্ত্র দিয়েছে জবানবন্দিতে দেওয়ান ফয়সাল ও আলমগীর তার নাম বলেছে। এ ছাড়া অনেকের কাছেই দেশিয় বিভিন্ন অস্ত্র ছিল।
পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, আমরা অস্ত্র উদ্ধারে নেমেছি। সবগুলো অস্ত্রই উদ্ধার করা হবে। আমরা এক এক করে টার্গেট করেছি। এতে আমাদের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু গোপনীয় রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জবানবন্দিতে কদু আলমগীর বলেছে, তার হাতে পিস্তল ছিল। একজনের হাতে বন্দুক ছিল। তারা যাওয়ার আগেই নোমান ও রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে। সেহেতু তার অস্ত্র ব্যবহার হয়নি। ঘটনায় অনেক অস্ত্র ছিল। এক পার্টি না মারলে আরেক পার্টি মারতো তাদের। যেহেতু এক পার্টি অস্ত্র ব্যবহার করে ফেলেছে, সেহেতু অন্য পার্টির প্রয়োজন হয়নি। তবে সব অস্ত্রই ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited