শিরোনাম
শেরপুর প্রতিনিধি: | ১০:৪৯, মে ১৪, ২০২৩ | 12
পৈতৃক সম্পত্তিতে স্থাপিত দোকানঘর ভাঙ্চুর, মালামাল লোপাট, আধাপাকা বোরো ধান কেটে নেওয়া, ভূমি জবরদখল ও প্রাণনাশের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। শনিবার (১৩ মে) শেরপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শ্রীবরদী উপজেলার উত্তর মাটিয়াকুড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু হাসেম।
সংবাদ সম্মেলেনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মুখে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সন্ত্রাসী হামলার শিকার ভুক্তভোগী আবু হাশেম। এসময় তিনি বলেন, তার মৃত বাবা আঃ সাত্তারের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে ১৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি দোকান ঘর নির্মাণ করে তার মৃত বাবার নামে মার্কেটের নাম দেন ছেলে আবু হাশেম। এদিকে একই গ্রামের আসার আলীর ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম আবু হাশেমের কাছে ওই মার্কেটের ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করার প্রস্তাব দিলে আবু হাশেম তা প্রত্যাখান করেন। এরই জের ধরে পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে আমিনুল ইসলাম হুমকি ধামকির এক পর্যায়ে ওই দিন তার নেতৃত্বে মো. ফারুক মিয়া ও মো. সাজু মিয়া সহ ৫০/৬০ জন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আঃ সাত্তার মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় আবু হাশেমের দোকান ঘরের ইটের দেয়াল সার্টার ভাংচুর এবং দোকানের মালামাল লোপাট করে নিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীদল। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা আবু হাশেমের খেতের বোরো ধান কেটে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা যাবার সময় আবু হাশেমকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। পরে এসব ঘটনার ভুক্তভোগী আবু হাশেম আমিনুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে ২ মে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) আইন ২০০২ সংশোধনী ২০১৯ এর ৪(১)/৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন আদালতে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে আমিনুল ইসলাম গংরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে বর্তমানে আবু হাশেম পরিবার পরিজন নিয়ে শংকিত রয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট আইন শৃংখলা বাহিনীর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তা এবং হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী আবু হাশেম ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমিনুল ইসলাম বলেন, গাবতলী বাজার থেকে পাশে খলশেকুড়ি বিলে যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা না থাকায় আমরা দোকানঘর ভেঙে রাস্তা করে দিয়েছি। বিষয়টি সবাইকে জানানো হয়েছে।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি, অন্যের রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে জোর করে দোকানঘর ভেঙে রাস্তা নির্মাণ করা আইনসম্মত নয়।
Developed By Muktodhara Technology Limited